“আল হাদিকাতুন নুদ্দিয়্যাহ ফিত ত্বরিকাতিন নকশবন্দিয়া” الحدیقة الندّیة فی الطریقة النقشبندیّة [লেখকঃ মুহাম্মাদ বিন সোলায়মান আল বাগদাদী আন নকশবন্দি( রহঃ), ইন্তেকালঃ ১২৩৪ সাল]
কিতাবটি ত্বরিকায়ে নকশবন্দিয়ার আদব ও শিষ্টাচারের উপর লিখিত। একজন মুরিদের কার্যকলাপ কেমন হওয়া উচিত, আপন পীরের প্রতি কেমন শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত এসব বিষয় চমৎকার ভাবে বর্ণিত হয়েছে এখানে। কিতাবটির ৭৩ পৃষ্ঠায় রয়েছে نقل ان الامام زفر كان یتوضا فمر علیه الامام ابو حنیفة رضی الله عنه فلا يقم له فلم یعظمه فلاجل ذالك صارت روایته فی المذاهب ضعیفةً۔ বর্ণিত আছে -ইমাম যুফর রহ. অযু করা অবস্থায় তার শায়খ ইমাম আবু হানিফা রহ. তার পাশ দিয়ে গমণ করছিলেন। এহেন পরিস্থিতিতে তিনি শায়খের সম্মানে না দাড়ালেন, না তাজিম দেখালেন। এরই প্রেক্ষিতে হানাফী মাজহাবে তার রেওয়ায়াতসমুহ দূর্বল হয়ে পড়ে অথচ তিনি বিজ্ঞ ফকীহ। বে-আদবী না শুধুমাত্র শিষ্টাচারের সর্বোচ্চ পরিলক্ষিত না হওয়ায় যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মুরিদের কী অবস্থা হবে! কিতাবটিতে মুরিদের জন্য যে ১১টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে এর একটি হলো পীরের কোন আমল নিয়ে মনে মতানৈক্য থাকতে পারবে না। এ নিয়ে কুরআনুল কারীম এর হযরত মুসা আ. ও খিজির আ. এর ঘটনাটা প্রণিধানযোগ্য। মুসা আ. এর কার্যকলাপ আপাতদৃষ্টিতে প্রশ্নবিদ্ধ মনে হলেও তিনিই সঠিক প্রমাণিত হন শেষ পর্যন্ত! সংকলনে মুফতী কাজী সৈয়্যদ মুহাম্মদ খলিলুর রহমান চাটগামী এম তফ (তাফসির) এম এম (হাদীস) এম এফ (ফিকাহ) বিএসএস (অনার্স) ও এমএসএস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান).
]
