জেনে নিন, ঘাড় ব্যথায় বালিশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম

শেয়ার করুন:

জেনে নিন, ঘাড় ব্যথায় বালিশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম

প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার


প্রতিদিন মানুষ কষ্ট মুক্ত থাকতে ভালো বোধ করে। আর সারাদিন পরিশ্রমের পর রাতে যখন ঘুমাতে যায় সেই ঘুমটা যেন ব্যথামুক্ত হয়।
যে সকল রুগীদের ঘাড়ে ব্যথা তাদের মনে প্রশ্ন জাগে কী ধরণের বালিশ ব্যবহার সে করবে। রুগীদের এ্যাসেসমেন্ট করার সময় আমরা বুঝতে পারি কী ধরণের বালিশ তিনি ব্যবহার করবেন। তাছাড়াও পাতলা এবং উঁচু বালিশে শোয়ায়ে দেখি সে কোন বালিশে আরামদায়ক বোধ করে অথবা ব্যথা বেড়ে যায়। পাতলা বালিশ ব্যবহারে ঘাড়ে কম্প্রেশন হয়। যদি পাতলা বালিশ-এ ব্যথা বেড়ে যায় তাহলে ঐ বালিশে শোয়া যাবে না। আমাদের প্র্যাকটিসে দেখতে পাই পাতলা বালিশে অধিকাংশ রুগীই কষ্ট বোধ করে। অপরদিকে রুগীকে যদি বেশি বালিশে শোয়ানো হলে মাথা সামনের দিকে বাকা হয় অর্থাৎ পাতলা বালিশ-এ ঘাড়ে যে কম্প্রেশন হয় সে জায়গা ফাঁকা হয়ে যায়, তখন ব্যথা কমে যায়। উঁচু বালিশ এবং অতিরিক্ত বালিশ আমাদের ঘাড়ের যে লোডোরটিক কার্ভ থাকে সে কার্ভ সঠিক অবস্থায় বা সঠিক পজিশনে রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে অনেক উঁচু বালিশ ঘাড়ের ব্যথা বাড়িয়ে দিতেই পারে। সেক্ষেত্রে মাসল স্ট্রেইন তৈরী করে ঘাড়, কাঁধ ও অন্যান্য যায়গায়। সেজন্য অবশ্যই চিৎ হয়ে শোয়ার সময় দুই হাঁটু নিচে ও কাত হয়ে শোয়ার সময় দুই হাঁটুর মাঝে বালিশ ব্যবহার করলে মাসল রিলাক্স থাকবে এবং কষ্ট কমে যাবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমরা যখন কাত হয়ে ঘুমাই তখন কাঁধ এবং মাথার মাঝখানে ফাঁকা জায়গায় এখানে এমনভাবে বালিশ ব্যবহার করতে হবে যেন মাথা এবং কাঁধের উচ্চতা সঠিক রাখে। অধিকাংশ সময়ই রুগীরা বলে থাকে পাতলা বালিশ ব্যবহারে অসস্থি বোধ করি, ব্যথা কমে না এবং ভালোভাবে ঘুমাতে পারিনা। রুগীরা বলে থাকেন- পাতলা বালিশের চেয়ে উঁচু বালিশ এবং অতিরিক্ত বালিশ ঘাড়ের কষ্ট কমায় এবং ব্যথামুক্ত ঘুমাতে সাহায্য করে। উঁচু ও নিচু বালিশের মধ্যে অধিকাংশ লোকের নিচু বালিশে ব্যথা বেড়ে যায় এর সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। পরিশেষে বলা যায়, যে বালিশ ব্যবহারে আপনি ভালো বোধ করেন সেই রকম বালিশ ব্যবহার করবেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার
মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজঅর্ডারস বিশেষজ্ঞ
লেজার ফিজিওথেরাপি সেন্টার
৪৪/৮, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা। ০১৭৬৫ ৬৬৮৮৪৬

শেয়ার করুন: