Warning: file_get_contents(/home/abcbarta/public_html/wp-content/uploads/2025/05/og-image-min.png): failed to open stream: No such file or directory in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 185

Warning: imagecreatefromstring(): Empty string or invalid image in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 185

Warning: imagesx() expects parameter 1 to be resource, bool given in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 187

Warning: imagesy() expects parameter 1 to be resource, bool given in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 188

Warning: imagecopy() expects parameter 2 to be resource, bool given in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 192

Warning: imagedestroy() expects parameter 1 to be resource, bool given in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 193

শহরে পরিণত হচ্ছে ১৭ গ্রাম

শেয়ার করুন:

নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে গ্রামেই শহরের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে যাচ্ছে সরকার। গ্রামেই গড়ে উঠবে শহরের মতো দৃষ্টিনন্দন ঘরবাড়ি। পাড়া-মহল্লায় থাকবে পাকা রাস্তা ও ক্ষেত্রবিশেষে দৃষ্টিনন্দন কালভার্ট-সেতু। প্রতিটি বাড়িতে থাকবে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা এবং পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটেশন সুবিধা। গ্রামগুলোতে থাকবে স্কুল, শপিং মল, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হাটবাজার, কমিউনিটি স্পেস বা বিনোদন ব্যবস্থা। রাস্তায় থাকবে রোড লাইটের ঝলমলে আলো। বিভিন্ন কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। মোটকথা গ্রামেই মিলবে শহরের নাগরিক সুবিধা। প্রথম দফায় উল্লিখিত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে দেশের ১৭টি গ্রামকে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একটি করে মোট ৩০০টি গ্রামকে পরীক্ষামূলকভাবে শহরে পরিণত করা হবে। সম্প্রতি ‘আমার গ্রাম-আমার শহর : প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ’ এর লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সভায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত হয়।

শহরের মতো গ্রামকেও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ কনসেপ্ট বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। এ কারণে শহরের মতো গ্রামকেও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হবে। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি গ্রামকে পরীক্ষামূলকভাবে শহরের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলা হবে। এটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে এমন গ্রামের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’

প্রথম দফায় দেশের ১৭টি গ্রামকে পাইলট গ্রাম হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভাগভিত্তিক গ্রামগুলো হলো- নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চালাকচরের হাফিজপুর গ্রাম, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিপুলশারের শেকচাইল গ্রাম, রাজশাহীর বাঘমারার সোনাডাঙ্গা গ্রাম, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খুরনিয়ার টিপনা গ্রাম, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি গ্রাম, বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়ার ইন্দুরিয়া গ্রাম, সিলেটের গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুরের বাগাইয়া গ্রাম এবং নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার শাহাতার ডেমুরা গ্রাম। বিশেষ অঞ্চল হিসেবে মনোনীত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে-সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের শিমুলবাক গ্রাম, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি গ্রাম, নওগাঁর নিয়ামতপুরের শ্রীমন্তপুরের দরগাপাড়া গ্রাম, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীর দাতিনাখালী গ্রাম, রাঙামাটির বরকলের ছোট হরিণা গ্রাম, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়ের বিলচান্দা গ্রাম এবং চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ইছাখালির চরশরত গ্রাম। এ ছাড়া দ্বীপের পর্যটন সম্ভাবনাময় বিশেষ দুটি গ্রাম হলো ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরি-মুকরি এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ। ওই সভায় প্রকল্প পরিচালক আবুল মনজুর মো. সাদেক বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে পাঠাগার, ক্রীড়া ও বিনোদন সুবিধা নিশ্চিতে প্রতিটি উপজেলায় যুব বিনোদন কেন্দ্র ও যুব স্পোর্টস কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় অডিটোরিয়াম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল মসজিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ট্রেনিং সেন্টার কাম অফিস ভবন নির্মাণ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপজেলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং গণগ্রন্থাগার ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব অবকাঠামো নির্মাণে ইতোমধ্যে জমির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাঠাগার, ক্রীড়া ও বিনোদন সুবিধা সম্প্রসারণের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণে সমন্বয় সাধন করা হলে উন্নত বিশ্বের আদলে একই স্থান থেকে বিনোদন সেবা নিশ্চিতসহ ভূমির সংকট নিরসনসহ সরকারি অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন: