আসিফ সরকার, জাবি প্রতিনিধি ::
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্য ২০ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মার্কেটিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল আহ্বায়ক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটির ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল। এসময় কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমাও উপস্থিত ছিলেন।
কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইমরান শাহরিয়ার। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নাসিম আল তারিক ও ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা। সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ। যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আছেন নাহিদ হাসান ইমন ও ইমরান হোসেন রাহাত। মুখ্য সংগঠকের দায়িত্ব পেয়েছেন নাকিব আল মাহমুদ অর্ণব। এছাড়াও সংগঠক হিসেবে কাজ করবেন জান্নাত উল ফিরদাউস আঞ্জুম ও মোহাম্মদ রায়হান। কমিটির মুখপাত্র হিসেবে থাকছেন মালিহা নামলাহ।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন নাফিজ উর রহমান, কাউসার আল আরমান, তানভীর আহমেদ শিহাব, মার্যিউর রহমান চৌধুরী, রাঈদ হোসেন এবং গালিব হাসান। উপদেষ্টা সদস্য হিসেবে রয়েছেন আরিফ সোহেল ও মেহেরাব সিফাত।
ফ্যাসিবাদ ও সংগঠনের ভূমিকাআওয়ামী ফ্যাসিবাদের সাথে সংগঠনের সম্পর্ক কেমন হবে—এ প্রশ্নের জবাবে সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম জানান, জাহাঙ্গীরনগরে ইতোমধ্যেই ১০ দলের সমন্বয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়েছে। এটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি আরও জানান, এতদিন সংগঠনের কাঠামো না থাকায় কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি ছিল। তবে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংস্কার ও ক্যাম্পাসের উন্নয়নে নতুন উদ্যমে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পাল্টাপাল্টি কমিটির প্রসঙ্গে বক্তব্যদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোনো কমিটি বৈধ নয়। অনুমোদন ছাড়া কমিটি গঠনের কোনো সুযোগ নেই।
রাজনৈতিক দল ও দাওয়াত প্রসঙ্গে – ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের দাওয়াত না পাওয়ার বিষয়ে আরিফ সোহেল বলেন, তারা দাওয়াত দেয়নি কারণ সংগঠনটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তবে জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল একই অবস্থানে রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। দ্বিমতকে মানবিক ও স্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মতের সমন্বয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হওয়াটা ইতিবাচক দিক।
নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আরও কার্যকর হবে বলে আশাবাদী নেতারা। সংগঠনের সদস্যরা ফ্যাসিবাদবিরোধী এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।