জমি দখল করে বিভিন্ন জেলায় ২২টি মামলা দিনমজুরদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলার হুমকি

শেয়ার করুন:

স্টাফ রিপোর্টারঃ নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হতদরিদ্র দুদু মিয়া গংদের জমি দখল করে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধেই ভুমি দস্যু অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলন ৫টি,তার আপন ও চাচাতো ভাই মিলে ১৩টি এবং ভুয়া বাদী সাজিয়ে ৪ টিসহ তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন দুদু মিয়া গংদের বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন জেলায় মামলার হাজিরা দিতে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এবং সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পরেছে তাদের। মামলার হাজিরা দিতে গেলে ভুমি দস্যুরা বেশ কয়েবার দুদু মিয়া গংদের বাড়িঘর লুটপাট করেন। আরো মামলা বিভিন্ন জেলায় করবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে তারা।

জানা যায়, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চরমান্দালিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলন,তার আপন ভাই সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আদিলুর রহমান কনক, চাচাতো ভাই মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে মোকলেছুর রহমান এবং তার বাহিনীসহ দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের দুদু মিয়া গংদের জমিজমা জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। তারা স্থানীয় প্রধান, থানা, চেয়ারম্যান এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি দখল মুক্ত করার আবেদন করেও কোন প্রতিকার পায়নি। বিভিন্ন জায়গায় জমি দখল মুক্তর জন্য আবেদন শুরুর পর থেকেই ১।দুদু মিয়া ২।রবি মিয়া ৩। রেনু মিয়া ৪।আঃ রহমান ৫।ফজলু মিয়া সর্বপিতা মৃত জামির উদ্দিন ৬।সাইফুল ৭।ইসমাইল উভয় পিতাঃ মৃত ফালু ৮।নাছিমা স্বামী দুদু মিয়া ৯।আবদুল্লাহ ১০।জামাল ১১।কুলসুম উভয় পিতাঃ ফজলু ১২।এমারত পিতাঃ রেনু ১৩।কাউসার পিতাঃ রবি ১৪।মার্জিয়া স্বামীঃ কাউসার ১৫।মিনা স্বামী আঃ রহমান ১৬।রোকিয়া পিতাঃ ফালু ১৭।সাহানা স্বামী রেনু ১৮।জোহরা স্বামী রবি সর্ব সাং চরমান্দালিয়া, থানা মনোহরদী, জেলা- নরসিংদীর।১৯।হামিদ পিতা মৃত আঃ মান্নান ২০।রওশনারা স্বামী-হামিদ ২১। আলামিন ২২। শামীম উভয় পিতা-হামিদ সর্ব সাং ফেকামারা, থানা-কটিয়াদী, জেলা- কিশোরগঞ্জ।২৩।চান মিয়া পিতা মৃত হাছেন উদ্দিন ২৪।মোঃ আলাউদ্দিন ২৫।শাহাব উদ্দিন উভয় পিতা- পিতা মৃত ময়জুদ্দিন ২৬।মোঃ শামমি পিতা মৃত সুরুজ মিয়া ২৭।মোঃ আজিজুল মিয়া পিতা মৃত বাদশা মিয়া সর্ব সাং- পাইকপাড়া (ক্ষেতুপাড়া), থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাসহ আরো বেশ কয়েক জনের উপর শুরু হয় নির্যাতন, ভয়ভীতি, লুটপাট, মারপিট, হত্যার হুমকি এবং ২২ টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে এপর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে।

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চরমান্দালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলন বাদী হয়ে ৫টি মামলা করেন ১। নরসিংদী কোর্ট দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৬৪/২০২০, ২।নরসিংদী মনোহরদী কোর্ট সি,আর মামলা নং ১১৮/২০২১,সেসন মামলা নং ৬৩৯/২০৩১, ৩। নরসিংদী মনোহরদী কোর্ট সি,আর মামলা নং ১৩১/২০২১, ৪। নরসিংদী মনোহরদী সি আর মামলা নং ৬৪১/২০২১, ৫। নরসিংদী মনোহরদী সি আর মামলা নং ৩৬৪/২০২৩।
অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনের চাচাতো ভাই মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে ৭টি মামলা করেন ১। নরসিংদী মনোহরদী নির্বাহী এম মামলা নং ১১৩৮/২০২১, ২। নরসিংদী মনোহরদী নির্বাহী এম মামলা নং ১২/২০২২, ৩। জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নরসিংদী মনোহরদী সি আর মামলা নং ৫৬৪/২২, ৪। নরসিংদী মনোহরদী নির্বাহী এম মামলা নং ০৬/২০২২, ৫। নরসিংদী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মনোহরদী সি আর মামলা নং ৫৬৪/২০২২, ৬। নরসিংদী মনোহরদী সি আর মামলা নং ৬৭/২০২৩, ৭। পার্বত্য জেলা রাঙামাটি সি আর মামলা নং ২৭২/২০২৩।
অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনের আপন ভাই মোঃ আদিলুর রহমান কনক বাদী হয়ে মামলা করেন মনোহরদী থানা নন এফ আই আর মামলা নং ৩১/২০২১।
অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনের চাচাতো ভাই মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে আতাউর রহমান বাদী হয়ে মনোহরদী সহকারী জজ আদালত নরসিংদী দেঃ মোঃ নং ১০৫/২২ এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নারায়ণগঞ্জ পিটিশন মামলা নং ৭০৮/২০২২ মামলা করেন।
অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনের চাচাতো ভাই মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে মুসফিকুর রহমান বকুল বাদী হয়ে নরসিংদী মনোহরদী কোর্ট এম মামলা নং ১৩৩/২০২১ এবং নরসিংদী মনোহরদী সি আর ৩৮/২০২৩ মামলা করেন।
অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনের চাচাতো ভাই মৃত সামসুল হকের ছেলে মোঃ আনোয়ারুল হক বাদী হয়ে নরসিংদী মনোহরদী কোর্ট এম মামলা নং ১২২২/২২ মামলা করেন।
মন্টু মিয়া নামের একজনকে ভুয়া বাদী সাজিয়ে কেরানীগঞ্জে ২টি মামলা করেন যার একটি সি আর মামলা নং ৬৮৯/২০২১। আনোয়ার মাহমুদ বকুল পিতাঃ মৃত আশ্রাব আলী,সাং-১২১ নং কলেজ রোড,পোস্ট+থানা ও জেলা নারায়ণগঞ্জ ভুয়া বাদী সাজিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পিটিশন মামলা নং ৬০৬/২০২২ ধারায় মামলা করেন ।
মোঃ কুবাইদুল ইসলাম পিতাঃ মোঃ আঃ জব্বার খাঁন সাং মরতুজাপুর থানা শ্রীপুর, জেলা- মাগুরা ভুয়া নামের বাদী সাজিয়ে মাগুরা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মোঃ ফৌঃ কাঃ বিঃ ১০৭/১১৭ ধারায় মামলা করেন।

দুদু মিয়া গংদের বিরুদ্ধে আরো শতাধিক মামলা বিভিন্ন জেলায় করবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলন গং।
নরসিংদী কোর্টে বারবার মামলা করতে গেলেও অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনের ভয়ে কোন আইনজীবীই মামলা করে দিতে রাজি হয়নি।অনেক তদবির করে দুদু মিয়া গং একটি জমিজমার মামলা করেছে নরসিংদী কোর্টে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৯৫/২০২১। তাদের নির্যাতন এবং হত্যার হুমকিতে কারো কাছে কোন প্রতিকার না পেয়ে বাড়িঘর ছেড়ে কয়েকটি পরিবার পাবনা এবং নাটোর জেলায় বসবাস করতেছে বেশকিছু দিন ধরে।

দুদু মিয়া গং বেশকিছু দিন জেল খেটেছেন তাদের এই মিথ্যা মামলায়। বিনা অপরাধে জেল খাটলেও অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনের ভয়ে নরসিংদী কোর্টের কোন আইনজীবী জামিন করাতে তাদের পক্ষে লরতে রাজি হয়নাই। দুদু মিয়া গংদের পক্ষে ডজন খানেক জাতীয় পত্রিকায় “মনোহরদীতে বিনা দোষে জেল খাটছেন ছয় ব্যক্তি” “জমির বিরোধে বাড়িঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুট” এরকম বিভিন্ন শিরোনামে খবর ছাপা হলেও এখন পর্যন্তও নজর পড়েনি কোন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের।

ভুক্তভোগী হতদ্ররিদ দুদু মিয়া বলেন,অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলন নিজেই ৫টি মিথ্যা মামলার বাদী।তার ভাই এবং চাচাতো ভাই মিলে ১৩টি মামলার বাদি। ভুয়া বাদী সাজিয়ে করছে ৪ টা মামলা। হুমকি দিচ্ছে শতাধিক মামলা করবে আমাদের বিরুদ্ধে।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে ভুয়া বাদীর চেহারার যে বর্ণনা পেয়েছি তাতে অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনের সঙ্গে মিল পেয়েছি। অর্থাৎ অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনই বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে বাদী সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করেছেন। আমারা গরীব মানুষ। আমারা এতো মিথ্যা মামলার হাজিরা কিভাবে দেবো, আমারা দিন এনে দিন খাই।আমার কয়েক চাচা এবং ভাই মামলার ভয়ে কেউ পাবনা আবার কেউ নাটোর জেলায় গিয়ে বসবাস করতেছে। তারপরো তারা মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। আমারা অনেক জায়গায় বিচার চেয়েও বিচার পাইনি। আমারা আপনাদের মাধ্যমে আমাদের জমি বুজিয়ে পাওয়া এবং এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এলাকাবাসী জানান, অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলন একজন ভুমি দস্যু এবং কলহপ্রিয় লোক। তার বিরুদ্ধে যেই কথা বলে তার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন জেলায় মামলা দেয়।মামলার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলেনা। আমরা তার বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে তার আইন পেশার রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট মোঃ শফিকুর রহমান মিলনের মোবাইল ফোনে বার বার ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন: