স্টাফ রিপোর্টার : পাবনার বেড়া উপজেলার কাজীরহাট এলাকায় যমুনা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ৪ যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজদের ২ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকি ২ জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পরিচয় পাওয়া নিখোঁজ দু’জন হলো- সাঁথিয়ার উপজেলার গোটেংরা গ্রামের আজাদের শিশুকন্যা শ্রাবন্তী (৬) ও শিশুটির নানী রেজি খাতুন (৪০)।
বিআইডব্লিউটিসি কাজীরহাট ঘাটের ইনচার্জ খালেদ মোশারফ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ১২ জন যাত্রী নিয়ে আরিচা থেকে ছেড়ে আসা আব্দুর রহিম খানের একটি স্পিডবোট ঢালারচর এলাকায় এসে স্রোতে ডুবে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা আহত ৮ যাত্রীকে ট্রলারে করে উদ্ধার করে কাজীরহাট ঘাটে নিয়ে আসে। ওই সময় বাকি ৪ যাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উদ্ধারকৃত যাত্রীরা হলেন- আবু বকর সিদ্দিক, হাশেম আলী, ইমান আলী, ইকরামুল হক, বাবুল খলিফা, আলেয়া বেগম, লাভলী বেগম ও রেজাউল করিম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় যাত্রী রেজাউল করিম জানান, আরিচা থেকে আমরা মোট ১২ জনযাত্রী রওয়ানা হই; কিন্তু আমরা ৮ জন ঘাটে পৌছাতে পেরেছি। বাকি ৪ জনের খোঁজপাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ শ্রাবন্তী ও রেজি খাতুনকে খুঁজে না পেয়ে তাদের স্বজনরা মঙ্গলবার সন্ধ্যাথেকে বুধবার এ খবর লেখা পর্যন্ত নদীর পাড়ে সন্ধ্যান চালাচ্ছেন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএম তাজুল হুদা জানান যে তিনি স্পীডবোট ডুবির কথা স্থানীয়দের কাছে শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি।
নিখোঁজদের স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন রাতে একাধিকবার আমিনপুর থানায় ঘুরে পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও নিখোঁজদের উদ্ধারে প্রশাসন এগিয়ে আসেনি।
এদিকে স্পিডবোট ডুবির ঘটনার পর থেকে কাজীরহাট ঘাটের সব ধরনের ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। খোঁজ মেলেনি প্রশাসন এগিয়ে আসেনি