Warning: file_get_contents(/home/abcbarta/public_html/wp-content/uploads/2025/05/og-image-min.png): failed to open stream: No such file or directory in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 185

Warning: imagecreatefromstring(): Empty string or invalid image in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 185

Warning: imagesx() expects parameter 1 to be resource, bool given in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 187

Warning: imagesy() expects parameter 1 to be resource, bool given in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 188

Warning: imagecopy() expects parameter 2 to be resource, bool given in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 192

Warning: imagedestroy() expects parameter 1 to be resource, bool given in /home/abcbarta/public_html/wp-content/plugins/facebook-og-property/facebook-og.php on line 193

রেলের উন্নয়নে বৃটিশদের ছাড়িয়ে গেল বর্তমান সরকার

শেয়ার করুন:

১৯৪৭ সালে বৃটিশরা যখন বাংলা ছেড়ে যায়, তখন স্কুল আর রেললাইন ছাড়া কিছুই রেখে যায়নি। এরপরে পাকিস্তান সরকার এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারও যোগাযোগের এই মহাগুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমের প্রতি ছিল উদাসীন। নদী, খাল, বিল, পুকুর, হাওড়ের বাংলাদেশে রেলপথের উন্নয়ন কোন সহজ কথা নয়। ‘শেখের বেটি’ বলে খ্যাত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর চ্যালেঞ্জ নিলেন। সেই লক্ষ্যে ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করলেন। ইতোমধ্যে বৃটিশদের করে যাওয়া অবকাঠামো এবং উদ্যেগকেও এই সরকার ছাড়িয়ে গেছে। দেখে নিন রেল উন্নয়নে এক নজরে বর্তমান সরকার গৃহীত বেশকিছু কার্যক্রম: ১. বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মায়ানমারের নিকটে ঘুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক, ২. আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, খুলনা হতে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, ৩. বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ, ৪. বাংলাদেশ রেলওয়ের কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশনের পুনর্বাসন এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ সংগ্রহ, ৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিনকী আস্তানা-চট্টগ্রাম সেকশনের ১১টি স্টেশনে বিদ্যমান সিগন্যালিং ব্যবস্থার প্রতিস্থাপন ও আধুনিকীকরণ, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল একটি ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ, ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ, ৬. পাহাড়তলী ওয়ার্কসপের উন্নয়ন, দর্শনা-ঈশ্বরদী সেকশনের ১১টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়ন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের ২০০টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ চলমান প্রকল্প। ৭. ৮৫৬ কি.মি. নতুন রেলপথ নির্মাণ; ১১১০ কি.মি. ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ; ৭২৫ কি.মি. বিদ্যমান রেলপথ পুনর্বাসন; রেলসেতু নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং গেটসহ অন্যান্য অবকাঠামোর মানোন্নয়ন, ৮. বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১০০টি লোকোমোটিভ, ০৪টি রিলিফ ক্রেন এবং ১টি লোকোমোটিভ সিমুলেটর সংগ্রহ; ১১২০টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ এবং ৬২৪টি ক্যারেজ পুনর্বাসন, ৯. আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ ইকুইপমেন্টস সংগ্রহ; ৮১টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়ন এবং রেলওয়ে ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, ১০. ২০ বছর মেয়াদী (২০১০-২০৩০) রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যানে ২৩৩৯.৪৪ বিলিয়ন টাকা (ইউএস ডলার ৩০ বিলিয়ন) ব্যয়ে মোট ২৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে প্রগতির পথে। আর তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেলখাতে এমন বিস্ময়কর সাফল্য।

শেয়ার করুন: