প্রায় ১৪ বছর পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের মাধ্যমে ইতিহাসের কাছে জঘন্যতম ৩টি দায় এড়ালো বাংলাদেশ। দায়গুলো হলো- বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও এর বিচার, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বিচার এবং সর্বশেষ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও তার বিচার।
এ প্রসঙ্গে একটি টেলিভিশন টকশো’তে ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ৩টি দায় এড়ানোর সময় এসেছে এবং তা সম্ভব হয়েছে বলে দৈনিক আমাদের নতুন সময়- এর সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার এরইমধ্যে হয়েছে, দরকার ছিলো মুক্তিযুদ্ধ চালাকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় হওয়া, যেটা হচ্ছিলো না, সেটার বিচার প্রক্রিয়া এতদূর এগিয়েছে- যেটাকে আমরা বিচার হয়েছে বলেই ধরে নিতে পরি। আর একটাই মামলার প্র্রক্রিয়াই বাকি ছিলো সেটা হলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। এই তিনটি মামলার বিচার পাহাড়ের মতো বাধা হয়ে ছিলো।
প্রথম দায়: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রধান ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারি আ ফ ম মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মামলা করেন। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল তৃতীয় বিচারক মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২৫ দিন শুনানির পর অভিযুক্ত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিত করেন৷
১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বাদী-বিবাদীর আপিলের প্রেক্ষিতে চার দফায় রায় প্রকাশ হয়। সর্বশেষ আপিল বিভাগ ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর থেকে টানা ২৯ কর্মদিবস শুনানি করার পর ১৯ নভেম্বর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৩ বছর ধরে চলা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের আইনি ও বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।