পাবনার ঐতিহ্যবাহী প্রমত্ত গাজনার বিলের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর লক্ষে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা ক্যানাল কৃষকের কোন উপকার হচ্ছে না। চলতি শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই গাজনার বিল পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে খনন প্রকল্পের প্রকৃত উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সুত্র জানায়, জেলার ঐতিহ্যবাহী প্রমত্ত গাজনার বিল গেল এক যুগ ধরে শুষ্ক মৌসুম এলেই ঐতিহ্য হারিয়ে পানি শূন্য হয়ে যায়। বিলের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে ২০১০ সালে সরকার ৪০০ ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গাজনার বিল বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। এর মধ্যে ২০০ কোটি টাকা ব্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সারা বছর পানি ধরে রাখার লক্ষে গাজনার বিলের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ছোট ছোট সংযোগ ক্যানাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্পটি মুলত সারা বছর প্রাকৃতিক ও সরকারিভাবে চাষের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন, জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ এবং কৃষকের সেচ সুবিধা সৃষ্টির লক্ষে ওই ক্যানাল খনন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১৬ সালের শেষের দিকে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়। কিন্তু খনন প্রকল্পের কাজ শেষের প্রায় এক বছর যেতে না যেতেই চলতি শুষ্ক মৌসুমে ওই ক্যানাল প্রায় পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিপুল অংকের টাকা ব্যয়ে খনন করা ওই ক্যানালের প্রকৃত উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে।
পাবনা সুজানগরের গাজনার বিল পাড়ের বাসিন্দা কৃষক বারেক প্রামানিক জানান, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার সুযোগে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে তাদের ইচ্ছামতো ক্যানাল খনন করেছে। ফলে খননের এক বছর পার না হতেই ক্যানাল পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। কৃষকের কোন কাজে আসছে না।
এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বেড়া) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, আমি অফিসে নতুন এসেছি, আমার যোগদানের অনেক আগেই ওই ক্যানাল খননের কাজ শেষ হয়েছে। এ বিষয় আমার তেমন জানা নাই, ফলে আমি এই মহুর্তে কোন মন্তব্য করতে পারছি না। ফাইল দেখে পরে বলতে বিস্তারিত বলতে পারবো। রিপোর্ট পাবনা বার্তা ২৪