বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি’র ইয়ুথ লিডারশিপ প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন

শেয়ার করুন:
এ কে খান :ঢাকা : ১৩ জুলাই দেশব্যাপী বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর চারটি রেঞ্জের আওতাধীন নিজস্ব পাঁচটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ২৮ দিন ব্যাপী “ভিডিপি ইয়ুথ লিডারশিপ প্রশিক্ষণ-২০২৫” সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই যুগান্তকারী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দেশের যুব সমাজকে দক্ষ, সচেতন, দায়িত্বশীল ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার এক মাইলফলক। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে শুধুমাত্র একটি সাধারণ কর্মসূচি হিসেবে না দেখে ভবিষ্যতের সমাজ নেতৃত্ব গঠনের একটি শক্তিশালী মঞ্চ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী যুবকদের নেতৃত্ব বিকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়, যা তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হাতে-কলমে শিক্ষা ও বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতা লাভে সহায়তা করে। ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিকল্পনা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, দল পরিচালনা এবং সামাজিক উদ্যোগ বাস্তবায়নের কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের বাস্তবমুখী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেওয়া হয়। এর ফলস্বরূপ, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজস্ব কর্মসংস্থানের পথ তৈরির প্রতি গভীর আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে রংপুর রেঞ্জ কমান্ডার উপমহাপরিচালক মোঃ আব্দুস সামাদ, কুমিল্লা রেঞ্জ কমান্ডার উপমহাপরিচালক মাহাবুবুর রহমান, সিলেট রেঞ্জ কমান্ডার উপমহাপরিচালক জিয়াউল হাসান ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ কমান্ডার উপমহাপরিচালক ডক্টর সাইফুর রহমান নিজ নিজ রেঞ্জের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এর দিক নির্দেশনা, বিশেষ উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগিতায় এমন প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়, যা উপস্থিত সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। এই সময় অংশগ্রহণকারী সদস্যদের মধ্যে এক ধরনের গর্ব, আত্মবিশ্বাস এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতির মনোভাব দৃশ্যমান হয়।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মকে আত্মপ্রত্যয়ী, সংগঠিত ও দক্ষ নেতৃত্বে রূপান্তরিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা। এই পদক্ষেপ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে যুব সমাজের সক্রিয় ও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য চারটি রেঞ্জের প্রতি রেঞ্জ থেকে ১০০ শত জন করে মোট ৪ শত জন প্রশিনার্থী ২৮ দিন ব্যাপী একই সময়ের প্রশিক্ষণে অংশ নেয়।

শেয়ার করুন: