পাবনার সাথিয়া উপজেলায় নিখোঁজের ১২ দিন পর সেফটি ট্যাক থেকে এক গৃহবধর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাথিনাথপুর ইউনিয়নের ছাতক বরাট গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গহবধূ ওই গ্রামের রজব আলীর ২য় স্ত্রী কুলসুম খাতুন (২৭)।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা হাসান ইমাম বলেন, ছাতক বরাট গ্রামের রজব আলীর প্রথম স্ত্রী মারা গেলে গত আড়াই বছর পূর্বে বেড়া উপজেলার রাকসা নতুনপাড়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কুলসুমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রজব আলীর দুই ছেলে উজ্জল হোসেন ও নজরুল ইসলাম সৎ মাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
সম্প্রতি কুলসুম অন্তঃসত্ত্বা হলে তার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ জুন দুই ভাই উজ্জল ও নজরুল কুলসুমকে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। স্বামী রজব আলী ও কুলসুমের বাবা-মা খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরদিন মা মাজেদা বেগম বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ অনেক উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়।
সোমবার ১০ জুলাই) সকালে ছাতক বরাট গ্রামের প্রবাসী মধু মিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে লোকজন যাওয়ার সময় লাশের গন্ধ পেয়ে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির সেফটি ট্যাক থেকে অর্ধগলিত কুলসুমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর থেকেই উজ্জল ও নজরুল স্ব স্ব স্ত্রী নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুলসুমের বিয়ের পর থেকেই রজবের দুই ছেলে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে তারাই অন্তঃসত্ত্বার কথা শুনে সম্পত্তির ভাগ দেয়ার ভয়ে সৎ মাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে।