কর্ণাটকবাসীর রায়ে ক্ষমতায় কংগ্রেস

শেয়ার করুন:

পাবনা, ২০ মে (ডেস্ক): কর্ণাটকবাসীর রায়ে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় কংগ্রেস। গত শনিবার, ইভিএম খুলতেই জনাদেশ কংগ্রেসের দিকেই যায়। গেরুয়া শিবিরের হিজাব বিতর্ক, জাত-পাত, ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি, হিংসা ও দুর্নীতির সরকারকে ছুড়ে ফেলে দেয় কর্ণাটকের বাসিন্দারা। সেই বিপুল জনাদেশ পাওয়ার পর কংগ্রেসের মধ্যে আবার শুরু হয় টালমাটাল। কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? সিদ্ধারামাইয়া নাকি ডি কে শিবকুমার? সেই নিয়ে টানাপোড়েন চলে প্রায় দিন চারেক। এর মাঝেই সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপে গত বুধবার,  মাঝরাতে সিদ্ধান্ত হয় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্ধারামাইয়া। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ডি কে শিবকুমার। সোনিয়ার অনুরোধ মেনে প্রবীণ সিদ্ধারামাইয়াকেই দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দেন কর্ণাটকের ভোট ম্যানেজার শিবকুমার। আজ, শনিবার বেঙ্গালুরুর শ্রীকান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ছিল শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে বিপুল কংগ্রেস নেতৃত্ব-কর্মী-সমর্থকদের মাঝেই শপথ নেন সিদ্ধারামাইয়া-শিবকুমার। এছাড়াও নবনির্বাচিত আট জন বিধায়ক এদিন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। আজ শনিবার, কর্ণাটকের নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ফের একবার বিরোধী জোটের দেখা মিলেছে। এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা, এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার, রাজস্থানের মু্খ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থেকে জনতার উদ্দেশে বার্তা দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

শেয়ার করুন: