Friday, April 18, 2025

মেঘমালার উপর কর্তৃত্ব

মদীনা মনোয়ারায় একবার বৃষ্টি না হওয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়ে ছিল। লোকেরা খুবই চিন্তিত হলো। এক জুমাবারে হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) যখন খুতবা দিচ্ছিলেন, এক বেদুইন দাঁড়িয়ে আরয করলো, ইয়া রসুলল্লাহ! ক্ষেত খামার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সন্তান-সন্ততি উপবাস থাকছে। আপনি দুআ করুন, যেন বৃষ্টি হয়। হুযূর(সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাঁর প্রিয় নুরানী হাত মুবারক উঠালেন (বর্ণনাকারীরবক্তব্য) আসমান তখন একেবারে পরিষ্কার ছিল। মেঘের কোন নাম নিশানা ছিল না।কিন্তু ছরকারে মদিনা হাত মুবারক উঠানো মাত্রই পাহাড়ের মত মেঘে ছেয়ে গেল।দেখতে দেখতে বৃষ্টি পড়তে লাগলো । হুযূর তখনও মিম্বরে ছিলেন, ছাদ টপকিয়ে পানি পড়তে ছিল এবং হুযূরের দাঁড়ি মুবারক থেকে পানির ফোঁটা নিচে পড়তে ছিল । এ বৃষ্টিআর বন্ধ হয় না । পরবর্তী জুমার দিন হুযূর যখন খুতবা দিতে উঠলেন, তখন সেই বেদুইন, যে এর আগের জুমায় বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কষ্টের কথা আরয করেছিল,দাঁড়িয়ে আরয করলো, ইয়া রসুলল্লাহ! এখনতো ক্ষেতখামার ডুবে যাচ্ছে, ঘরবাড়ী পড়ে যাচ্ছে। আপনি দুআ করুন যেন বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়। হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াসাল্লাম) তখন তাঁর প্রিয় নুরানী হাত মুবারক উঠালেন এবং স্বীয় আঙ্গুলী মুবারক দ্বারা ইশারা করে দুআ করলেন, হে আল্লাহ! আমাদের আশে পাশে বৃষ্টি হোক কিন্তু আমাদের উপর বৃষ্টি পতিত না হোক, হুযূরের ইশারা করা মাত্রই যে দিকে হুযূরের আঙ্গুলী মুবারক গেছে সেদিকে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে এবং মদীনা মনোয়ারার উপরস্থ আসমান পরিস্কারহয়ে গেল । (মিশকাত শরীফ ৫২৮ পৃঃ) সাহাবায়ে কিরাম যে কোন বিপদের সময় হুযূরের বারগাহে ফরিয়াদ নিয়েআসতেন। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে এখানে সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় ৷এখনও আমরা হুযূরের মুখাপেক্ষী, হুয়ুরের ওসীলা ব্যতীত আমরা আল্লাহ থেকে কিছুই পেতে পারি না । মেঘমালার উপরও হুযূরের কর্তৃত্ব রয়েছে। … মুফতী কাজী সৈয়্যদ মুহাম্মদ খলিলুর রহমান চাটগামী

একই রকম সংবাদ

বিজ্ঞাপনspot_img

সর্বশেষ খবর