শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :শেরপুরে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুল হক (৭৫) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আজিজুল হক শ্রীবরদী উপজেলার কারারপাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে। ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের কারারপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। প্রথমে বিষয়টি গোপন রেখে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে ১১ এপ্রিল শুক্রবার রাতে ওই ঘটনা জানাজানি হবার পর এলাকাবাসী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে ৯৯৯ এ ফোন দেয়। পরে শ্রীবরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে শিশুটির মা বাদি হয়ে শ্রীবরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করে। এঘটনায় ১২ এপ্রিল শনিবার ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করে। বিষয়টি শনিবার রাতে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার জাহিদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। শনিবার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয় এবং ওইদিন বিকেলে আদালতে শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর এবং তার মা অন্যের বাড়ীতে আয়ার কাজ করে। ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটি বাড়িতে অবস্থান করছিলো। এসময় তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় অভিযুক্ত আজিজুল হক বাড়ির উঠানে আসিয়া শিশুটির কাছে খাবার পানি চায়। সে পানি আনিয়া দিলে পানি খাওয়ার পর শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ওই সময় শিশুটি চিৎকার চেঁচামেচি করিলে তাকে রান্নাঘরে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিশুটির মা বাড়ীতে গিয়ে রান্না ঘরের মাটিতে শিশুটিকে কান্নাকাটি করতে দখতে পায়। পরে শেরপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ কামরুন্নাহার নার্গিসের কাছে চিকিৎসা করায়। পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে আজিজুল হককে আটক করে পুলিশে ফোন দিলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার জাহিদ জানান, শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।