হযরত সা‘দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস আল-কুরাইশী আয-যুহরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ছিলেন ‘আশারায়ে মুবাশশারা’র একজন৷ দশজন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদেরকে ‘আশারায়ে মুবাশশারা’ বলা হয়৷ তিনি ইসলামের প্রথমদিকের সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম। কেউ বলেন তিনি ইসলাম গ্রহণকারী তৃতীয় ব্যক্তি, আবার কেউ বলেন তিনি সপ্তম। • তিনি আল্লাহর রাস্তায় তীর নিক্ষেপকারী প্রথম ব্যক্তি। আর তাতে নবীজি ﷺ এতটাই আনন্দিত হয়েছিলেন যে, তিনি বলে উঠলেন—‘তীর ছুড়ো, আমার মা-বাবা তোমার জন্য উৎসর্গিত হোক!’ আহ! কতটা ভালোবাসা, কতটা মায়া, কতটা স্নেহ থাকলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এমন বাক্য বলতে পারেন! • তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মাতুল (মায়ের দিকের আত্মীয়) এবং উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক মনোনীত শূরা মজলিসের ছয় সদস্যের অন্যতম, যাঁরা পরবর্তী খলিফা নির্বাচন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। • হযরত সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সাথে সমস্ত গযওয়ায় (যুদ্ধ অভিযানে) অংশগ্রহণ করেন। তিনি উহুদের দিনে ধৈর্য ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যান, যখন অনেকে পিছু হটেছিল। • মক্কা বিজয়ের দিন তাঁর কাছে মুহাজিরদের তিনটি পতাকার একটি ছিল। • তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ তীরন্দাজ। ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে প্রথম তীর নিক্ষেপকারী। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর মধ্যে অন্যতম ছিলেন। • তিনি উহুদ যুদ্ধের দিন এক হাজারেরও বেশি তীর নিক্ষেপ করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বারবার বলছিলেন, ‘তীর ছুড়ো, আমার মা-বাবা তোমার জন্য উৎসর্গিত হোক!’ তিনি তখন এই কবিতাটি আবৃত্তি করেন— ألا هَلَ أتى رسولَ اللهِ أنّي حَمَيْتُ صِحابتي بصُدورِ نَبْلي أذودُ بها عَـدُوَّهُمُ ذيادًا بكُلّ حُزُونَةٍ وَبكُلّ سَهْلِ فما يَعْتَـدّ رامٍ من مَعَدٍّ بسَهْـمٍ مَعْ رَسولِ الله قَبْلي ❝ আল্লাহর রাসূলের কাছে কি এই সংবাদ পৌঁছেছে? আমি আমার তীরের দ্বারা আমার সঙ্গীদের রক্ষা করেছি! আমি শত্রুকে প্রতিহত করেছি, পাহাড়ের কঠিন পথেও, সমতল পথেও! কুরাইশ বংশে আমার আগে কেউ কি রাসূলের পাশে দাঁড়িয়ে এভাবে তীর ছুড়েছে?