Tuesday, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৫

গর্বের বিবিসি বাজার, আমাদের ইতিহাসের অংশ

হাসান টুটুল, ফেসবুক থেকে নেওয়াঃঃ দক্ষিণ বঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গের মিলণ ক্ষেত্র লালন শাহ সেতু ও হার্ডিঞ্জ বৃজের পূর্বপ্রান্তে রূপপূর বাজারের নাম মুখে মুখে ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে, হয়েছে বিবিসি বাজার। এই বাজারের নেপথ্য মহানায়কের নাম আবুল কাশেম মোল্লা। জায়গার নাম বিবিসি বাজার। তাই বলে জায়গাটা কিন্তু লন্ডনে নয়। এমনকি সেখানে কোন বেতার কেন্দ্র কিংবা বেতার উপকেন্দ্রও নেই।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রূপপুর এলাকাটি বেশ জঙ্গলাকীর্ণ ছিল। এর সন্নিহিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এবং পাকশী পেপার মিল- দুটোই ছিল পাকবাহিনীর বিশাল বহরে সজ্জিত।ঘন গাছগাছালিতে আচ্ছাদিত অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থান কড়ই তলায় গ্রামের যুবক আবুল কাসেম মোল্লা এপ্রিল(১৯৭১) মাসের প্রথম দিকে একটি চায়ের দোকান দেন। দোকানে ছিল তাঁর একটা থ্রিব্যান্ড রেডিও। যে সময়ে পাঁচ গ্রাম ঘুরে একটি রেডিও পাওয়া যেত না সেই সময়ে একটি থ্রিব্যান্ড রেডিওর মালিক হওয়া ছিল রীতিমত গর্বের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের খবরাখবর শোনার জন্য তিনি বিবিসি ধরতেন। লোকজন কড়ই তলায় চা খাওয়ার নাম করে যুদ্ধের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পেত। তাদের আলোচনার খোরাক যোগাতো বিবিসির খবর। ধীরেধীরে লোকসমাগম বাড়তে লাগল। বেশিরভাগ লোকই আসতো যুদ্ধের খবরাখবর শোনার জন্য। কয়েক মাসের মাসের মধ্যে লোকজন রূপপুর বাজারের নাম পরিবর্তিত রটে মুখে মুখে বিবিসি বাজার হয়ে গেল।। স্বাধীনতার পর জায়গাটির নাম স্থায়ীভাবেই বিবিসি বাজার বলে পরিচিতি পায়।দেশ স্বাধীনের পর সারা দেশে বিবিসি বাজারের কাহিনী ছড়িয়ে যায়। বিবিসি কতৃপক্ষের কানেও পৌঁছে যায় কাসেম মোল্লার বিবিসি বাজারের কাহিনী। ১৯৯২ সালে বিবিসির পঞ্চাশ বছর পূর্তি তাদের একটি দল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সফরে আসে। এই প্রতিনিধি দল বিবিসি বাজার পরিদর্শন করে। কাশেম মোল্লাকে নিয়ে সে সময়ে বিবিসি বাংলায় অনুষ্ঠানও সম্প্রচার করে কর্তৃপক্ষ।

একই রকম সংবাদ

বিজ্ঞাপনspot_img

সর্বশেষ খবর