স্টাফ রিপোর্টার :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কাযালয়ে কর্মরত এসপি আব্দুল লতিফ তাঁর সততা, ন্যায় নিষ্ঠা, মেধা ও কর্মতৎপরতার জন্য পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে যোগদান করেন। তিনি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকদির গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান মরহুম আমির আলী প্রামানিকের জ্যৈষ্ঠ পুত্র। তিনি ৪ ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়। তার ছোট ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম সুজানগর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক হিসাবে কর্মরত। তার ২ বোন বিবাহিত ও গৃহিনী। আব্দুল লতিফ সুজানগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির পর অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ছোট বেলা থেকেই তুখোর মেধাবী হিসাবে প্রথম শ্রেণি হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বরাবরই ক্লাসে ফাস্ট বয় ছিলেন। তিনি ৫ম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় সুজানগর উপজেলার মধ্যে মেধাতালিকায় ১ম স্থান লাভ করেন। তিনি ৫ম শ্রেণি ও ৮ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে সুজানগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে স্টার মার্ক নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় সুজানগর উপজেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন। পরে ১৯৮৮ সালে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ হতে কৃতিত্বের সাথে বিঞ্জান বিভাগে এইচএসসি পাশ করে প্রথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৪-তম বিসিএস এর মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন। চাকুরী কালীন সময়ে তিনি গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, বগুড়া ও রংপুর জেলায় চাকুরি করেন। এরপর তিনি পুলিশ সুপার হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে পুলিশ সুপার প্রশাসন হিসাবে চাকুরি করেন। ব্যাক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। তিনি সুজানগর উপজেলার সুইচ গেট সংলগ্ন বিশ্বাস পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোঃ মমতাজ উদ্দিন বিশ্বাসের বড় মেয়ে ফেরদৌসী আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ২টি ছেলে সন্তানের জনক।
তাঁর বড় ছেলে মুস্তাফা ফাহিম বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ হতে এসএসসি ও আজিজুল হক কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করে সৈয়দপুর আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগ হতে বিএসসি ডিগ্রি শেষ করেন। ছোট ছেলে আহম্মেদ ফাহাদ রংপুর সরকারি কলেজ হতে এইচ এস সি পাশ করেছেন। আব্দুল লতিফ শুধু ছাত্র জীবনেই নয়, কর্মজীবনেও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন মেধাবী ও চৌকস এ কর্মকর্তা। কর্মজীবনে তিনি আফ্রিকার আইভরি কোস্টে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। অত্যন্ত সরল মনের নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি হিসাবে এলাকায় তার সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে। এলাকার মানুষের সকল ধরণের সহযোগিতা ও জনহিতকর নানা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এছাড়াও তিনি তাঁর মামার নামে প্রতিষ্ঠিত পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান খান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন। কর্মব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয় এলাকার প্রতি তিনি ভালোবাসার টানে মাঝে মধ্যে ছুটে আসেন সুজানগরের নিজ গ্রামে। গ্রামের সহজ সরল সাধারন মানুষের সাথে মিলেমিশে গ্রামের যুবক ও তরুন প্রজন্মের শিক্ষা দীক্ষা সহ নানাবিধ জনহিতকর কাজে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে থাকেন। সংস্কৃতিমনা, বন্ধুবৎসল, প্রাণচঞ্চল মানুষ পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল লতিফ অবসরে বই পড়তে ভালোবাসেন। আব্দুল লতিফ অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়ায় পাবনা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক, পাবনা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস, চ্যানেল আই ও দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক আখতারুজ্জামান আখতার, জাগো নিউজ, মানব কন্ঠ ও গ্লোবাল টিভি’র সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম জুয়েল, দুবলিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান খান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক, ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও টিএমএসএসের ইন্টারনাল ইন্টেলিজেন্স প্রতিনিধি ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার এর পাবনা জেলা প্রতিনিধি আঃ খালেক খান, ফাউন্ডেশনের কনিষ্ঠ উপদেষ্টা ৩৮ বিসিএস এর পাবনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক লিটন আনাম লিটু, ফাউন্ডেশনের পরিচালক মানিকুজ্জামান খান মানিক, পরিচালক ফিরোজ খান, পরিচালক রানু খান, পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খান সুমন, পরিচালক শিমুল খান বাবু, পরিচালক কে এম মুনির হোসাইন, পরিচালক মোতালেব খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ খান, প্রভাষক হেদায়েতুল হক বিশ্বাস, সিনিয়র শিক্ষক ইমরান আলী সরকার, সিনিয়র শিক্ষক আমজাদ হোসেন, হযরত আলী রতন আলী ও মিজানুর রহমান প্রমুখ তাঁকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাঁর শারীরিক সুস্থতা, উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি, সাফল্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করেছেন।