প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার
ভুলো মনের সমস্যা সাধারণত বার্ধক্যের। বয়স বাড়লে স্মৃতি মাঝেমাঝেই বিশ্বাসঘাতকতা করে। কিন্তু এই স্মৃতিভ্রমের সমস্যা কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, তার অন্যতম উদাহরণ হল ডিমেনশিয়া। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিশ্বে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। অ্যালঝাইমার্সের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিও এক ধরনের ডিমেনশিয়া। বয়স বাড়লে তো বটেই, তবে রোজের কিছু অভ্যাস কিন্তু কমবয়সেই ডেকে আনতে পারে ডিমেনশিয়ার মতো অসুখ। তবে ঘরোয়া কিছু কাজ নিয়মিত করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
১) ঘর সাফ করার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা এর প্রভাবে দূরে থাকে। ঘর পরিষ্কার করলে মস্তিষ্কে এন্ডর্ফিন হরমোন তৈরি হয়। তাতে মন ভাল হয়। নিয়মিত ধ্যান করলে ঠিক যা কাজ হয়, এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়ে থাকে।
২) বাগানের কাজ করলে মানসিক চাপ কমে। মন ও শরীর সতেজ হয়। তার ফল পায় মস্তিষ্ক। চারপাশের চাপের প্রভাব কম পড়ে মস্তিষ্কের উপর।
৩) রান্নার মতো সৃজনশীল কাজ কমই আছে। রান্নাকে যতই কম গুরুত্ব দেওয়া হোক না কেন, কিন্তু এর মধ্যে অনেক ভাবনাচিন্তার অবকাশ আছে। কোন সব্জি কী ভাবে কাটা হবে থেকে শুরু করে মশলা বাছাই— সবেতেই মস্তিষ্কের অনেক কাজ থাকে। তাতেই লাভ হয়।
৪. প্রতিদিন এক্সারসাইজ করতে হবে। ব্যায়ামের মধ্যে সবার সেরা হাঁটা। এটা হাড়, হাড়ের সংযোগ ও মাংসপেশিকেও সবল করে। সাহায্য করে ভালো ঘুম ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও। সে জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার পা একা হাঁটার চেয়ে চেষ্টা করুন সঙ্গী জোগাড় করে হাঁটার।নিয়ম করে হাঁটতে হবে। হাঁটলে স্মৃতি শিক্তি বাড়ে, মন ভালো থাকে । দুশ্চিন্তা দূর হয়।
আপনি যে ব্যায়াম যত কঠোরভাবেই করুন না কেন, সে অবস্থায় যদি ঠিকমতো শ্বাসপ্রশ্বাস চালাতে না পারেন, তাহলে আপনার ব্যায়াম ঠিকঠাক হচ্ছে না। সে জন্য নিয়মিত শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। বড় করে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। চেষ্টা করুন প্রক্রিয়াটা নাক দিয়ে করতে।
প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার
মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিসর্ডারস বিশেষজ্ঞ
০১৭৬৫ ৬৬৮৮৪৬, ০১৭৮৫ ৯৯৯৯৭৭
www.fb.com/ProfAltafSarker
www.youtube.com/profaltaf