এমএম শাহাবুদ্দিন টুটুল
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের সকল গ্রামে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের পদ যাত্রায় থেমে নেই এ দেশের গ্রামীন ছেলে মেয়েরাও। আমরা জানি শিক্ষায় আলোকিত না হলে আলোকিত মানুষ হওয়া দুষ্কর। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীসহ সকল অভিভাবকের একটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয় শুরু থেকেই। এ দৌড়ে যারা টিকে যায় তাদের জন্য সাফল্যের দ্বার উন্মুক্ত হয়।আজ গ্রামের ছেলেমেয়েরা ও ডাক্তার হয়, ইঞ্জিনিয়ার হয়, শিক্ষক হয়, আমলা হয়, ব্যাংকার হয়, চাষি হয়, উদ্যোক্তা হয়, খেলোয়াড় হয়। গ্রাম এবং শহরের ছেলেমেয়েদের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশের আপামর ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবকদের জন্য আই সি টি বেসড একটা চমৎকার শিক্ষার রোল মডেল তৈরি হয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা অর্জন করে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে এবং দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করবে নির্মোহভাবে।সেইজন্য তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, ২০০৯ সালে উপবৃত্তি কার্যক্রমকে আরও বেগমান করা হয় এবং সুবিধাভোগীর হার ৪০ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়। যার ফলে সারাদেশে৬৬,৬৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১কোটি ৩০ লাখ সুবিধা ভোগী ছাত্র-ছাত্রী প্রতিমাসে উপবৃত্তির সুবিধা ভোগ করছে। উপবৃত্তির কার্যক্রম কে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে, যাতে করে মায়েরা অতি সহজে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে পারেন। শিওর ক্যাশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সারাদেশে ১ কোটি ৩০ লাখ উপবৃত্তি সুবিধা মায়ের মোবাইল একাউন্টে টাকা পৌছে যাচ্ছে, যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অনলাইন ভিত্তিক টাকা ট্রান্সফারের উদাহরণ। উল্লেখ্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদানের কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ল্যাপটপের মাধ্যমে নিজেরাই অনলাইনে চাহিদা প্রদান করতে পারছেন। এতে করে উপবৃত্তিবিষয়ক কার্যক্রমে শিক্ষকদের অতিরিক্ত সময় নষ্ট করতে হচ্ছে না, শিক্ষকরা শ্রেণি কার্যক্রমে মনোনিবেশ করতে পারছেন,।নারী শিক্ষাকে স্নাতক পর্যন্ত অবৈতনিক ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, বছরের শুরুতেই বিনামূল্যে বই বিতরণ বৃত্তি, উপবৃত্তি প্রদান,মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহ,শ্রেণীকক্ষ মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান, শিক্ষাকে বহুমুখী ও যুগোপযোগী করতে বহুবিদ পদক্ষেপঃ যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন দেশের বিভিন্ন জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চালু করা হয়েছে।তা ছাড়া প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রদান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।আজকে বিসিএসসহ সকল নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি মুক্ত নিয়োগ চলমান রয়েছে। এক্ষেত্রেও গ্রামের ছেলে মেয়েরা পিছিয়ে নেই।আরো সমৃদ্ধ ও উন্নত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হোক এ প্রত্যাশা করছি।
লেখক: এম.এম. শাহাবুদ্দিন টুটুল
শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব. প্রাক্তন সভাপতি, গভর্নিং বডি কাশিনাথপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ, পাবনা।