Tuesday, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩

মহিলাদের কোমর ব্যথা

মহিলাদের কোমর ব্যথা

প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার

এমন কোন পরিবার নাই যেখানে কোমর ব্যথার রোগী নাই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ১০০ জন রুগীর মধ্যে ৮০ জন লোক জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। কোমর ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম কারণ হলো- মাংসের দূর্বলতা, অসঠিক ভঙ্গি, স্ট্রেস ইঞ্জুরি, স্ট্রেইন, স্প্রেইন, ওভারলোডেড ব্যাক পেইন মাস্ল, গৃহকাজ, ডিস্ক প্রবলেম, অ্যাঙ্কাইলাইজিং স্পনডাইলাইটিস (স্পনডিলোলিসথেসিস), ভিসেরাল প্রবলেম (কিডনি, পিত্তথলির পাথর), স্পাইনাল ডিফরমিটি (স্কোলিওসিস, কাইফোসিস), মাল্টিপল মায়েলোমা, ডিজেনারেশন, ওবেসিটি, পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ, প্রি মেন্সট্রুয়েল সিনড্রম, এন্ডোমেট্রিওসিস, থ্রিয়েটেন্ড অ্যবরর্জন, মিসক্যারেজ, ইউটেরিন প্রল্যাপস, অস্টোওপরোসিস, ইউরেথ্রাইটিস, প্রেগন্যান্সি, কক্সিগোডাইনা, এম.আই জয়েন্ট ডিসফাংশন, হরমোনাল ফ্যাক্টর ও মেন্সট্রুয়াল ক্রাম্পস।
চিকিৎসা শুরুর পূর্বেই রোগের বিস্তারিত ইতিহাস জানা দরকার এবং সে অনুযায়ী রোগীর ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন করা দরকার। রোগীর শুধু ব্যথা নয়, ব্যথা কিভাবে হল এবং কোন অবস্থা ব্যথার উপশম হয় এ ব্যপারে রোগীর নিকট হতে ভালোভাবে জানা দরকার।
ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন অবশ্যই রুগীর ইতিহাস এবং কী ধরনের অসুবিধা মেকানিক্যাল ডিসফাংশন অনুযায়ী পরীক্ষা নীরিক্ষা করা দরকার। রুগীর রোগের ব্যপারে আন্তরিকতার সাথে রোগীকে বুঝতে হবে। রোগীকে প্রচুর যতœ করতে হবে।
চিকিৎসা এবং অন্যান্য মোডালিটিস এর মাধ্যমে রোগীকে উৎসাহ দিতে হবে যে সে দ্রুত তার কর্মক্ষেত্রে যেতে পারবে। কেননা কোমর ব্যথার রুগীরা অনেক সময়ই কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকে। সেজন্য কর্মক্ষেত্রে কাজের যেমন ক্ষতি হয় পাশাপাশি প্রচুর টাকারও ক্ষতি হয়।
ব্যাক এ্যাডুকেশনের ব্যাপারে রোগীদেরকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা, পেপার উপস্থাপন করা এবং এ্যাডুকেশনাল বুকলেট প্রদান করা। প্যাসেন্ট এ্যাডুকেশন, রিভিউ অব লিটারেটার ক্রোনিক ব্যাক পেইন এর জন্য খুবই কার্যকরী এবং এই কাজগুলো রোগীকে তার কাজে ফিরে যেতে সহযোগীতা করে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ব্যাক পেইন এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখে এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা আপনাকে এবং আপনার মাংসকে দ্রুত শক্তিশালী করে এবং দ্রুত কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে সাহায্য করে অর্থাৎ আপনার মুভমেন্ট এবং এ্যাকটিভিটি বাড়িয়ে দেয়।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মধ্যে স্ট্রেচিং, স্ট্রেন্দ্রেনিং এবং পেইন রিলিফ চিকিৎসা অন্যতম। এছাড়াও বিশেষভাবে মনে রাখবেন চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ অনেক ভালো। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাক মাস্ল শক্তিশালী রাখুন বা করুন। ঐ কাজ করবেন না যে কাজ করলে আপনার কষ্ট বেড়ে যায়। সঠিক ভঙ্গি মেনে চলুন, কমপক্ষে আট-নয় ঘন্টা ঘুমাবেন, প্রতিদিন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন এক্সারসাইজ করুন, প্রচুর পানি পান করুন, টেনশন মুক্ত থাকুন, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন, প্রতিদিন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবেন ও ধুমপান বর্জন করুন। সুস্থ থাকুন।

প্রফেসর ডা. আলতাফ সরকার
মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজঅর্ডারস বিশেষজ্ঞ

লেজার ফিজিওথেরাপি সেন্টার
৪৪/৮, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা। ০১৭৬৫ ৬৬৮৮৪৬

একই রকম সংবাদ

বিজ্ঞাপনspot_img

সর্বশেষ খবর