তরুণ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজীম খান অঞ্জনের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
নিজস্ব প্রতিবেদক : তরুণ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ সদ্য প্রয়াত প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজীম খান অঞ্জনের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাবনার আমিনপুর থানা প্রেসক্লাব, অনলাইন নিউজপোর্টাল এবিসিবার্তা ও ওয়েসিস শিক্ষা পরিবারের উদ্যোগে ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রাঙ্গনে আজ শুক্রবার (২০ মে) সন্ধ্যায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। আমিনপুর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আলাউল হোসেনের পরিচালনায় স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবিপ্রবি’র সাবেক ভিসি, বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. আমিন উদ্দিন মৃধা। এ সময় ড. মৃধা প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজীম খান অঞ্জনের অসামান্য আবিষ্কার নিয়ে কথা বলেন ও তাঁর সাথে সখ্যতার বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন। এছাড়াও স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন এবিসিবার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক কলেজ শিক্ষক আলীম আল রাজী, এমদাদুল হক, কামরুল ইসলাম, ছহিউল ইসলাম শিপন, তৌহিদুল ইসলাম শাকিল প্রমূখ।
আমিনপুর থানা প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দসহ ওয়েসিস শিক্ষা পরিবারের বেশ কয়েকজন পরিচালক এ সময় উপস্থিত থেকে দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, কাশিনাথপুরের ওয়েসিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কাশিনাথপুর বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠায় অঞ্জনের বিশেষ অবদান রয়েছে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে আমার যেমন একজন সুশিক্ষক হারালাম, তেমনি দেশ হারালো একজন গবেষক-প্রযুক্তিবিদ-বিজ্ঞানী।
উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজীম খান অঞ্জন গত ৮ মে স্ট্রোক করার পরে ১১ দিন ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
৩০ জুন ১৯৭৬ সালে বেড়া উপজেলার নতুনভারেঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৯৯১ সালে স্টার মার্কসসহ এসএসসি ও ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে স্টার মার্কসসহ এইচএসসি পাশ করেন। মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক শেষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এডভান্সড ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট-এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
কাজ করেছেন বাংলালিংক ও রবি’র বিভিন্ন প্রজেক্টে। মাটিরময়না সিনেমায় টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে সম্পৃক্ত ছিলেন। স্কলাস্টিকায় শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন। প্রযুক্তি নামে নিজ গ্রামে একটি শিল্প-কারখানা গড়ে তুলেছেন। ফেলে দেয়া ময়লা-আবর্জনা দিয়ে জ্বালানী তৈরির ফর্মূলা আবিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৯ সালে তাঁকে মেধাসম্পদ সুরক্ষা পুরস্কার দেয়।