একদিকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ এখনো বর্তমান যার কারণে দিনের পর দিন বাড়ছে পেট্রোল ডিজেল এবং ভোজ্যতেলের দাম। সাধারন নাগরিকদের মাথায় হাত পেট্রোল-ডিজেলের দাম ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার কারণে। অন্যদিকে তো দূষণের ব্যাপারটা রয়েছে, যা প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে। এরকম সময়ে বিদ্যুতিক গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকেল অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। গোটা দেশ বিদেশে বাড়ছে ইলেক্ট্রিক ভেহিকেলের চাহিদাও। এই দিকেই নজর রেখে এবার বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়ছে বিভিন্ন সংস্থা গুলি। বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি গুলি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে প্রথম রয়েছে টাটা। টাটা সংস্থার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে অনেক বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনা হয়েছে, এবং চেষ্টা চালানো হচ্ছে যে ভবিষ্যতে আরও উন্নত মানের গাড়ি বাজারে আনার। তবে জানা গেছে টাটার তরফ থেকে এবার বাজারে আসতে চলেছে নতুন একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি, যার নাম টাটা Avinya । এই গাড়িটিতে পাওয়া যাবে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই গাড়িটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভবিষ্যতের জন্য জেন থ্রি ইবি আর্কিটেকচার প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে গাড়ির আয়তন কমিয়ে রেখেই গাড়ির ভেতরের জায়গাকে অনেক বেশি বাড়ানো সম্ভব। টাটা এই মডেলটিকে একদম নতুন ভাবে বাজারে আনতে চলেছে। মডেলটির নাম একেবারেই অন্যরকম রাখা হয়েছে যা সংস্কৃত শব্দ থেকে একেবারেই অভিন্ন। এই মডেলটির নামের অর্থ হল আবিষ্কার করা বা উদ্ভাবন করা।
ডিজাইনের দিক থেকে এই গাড়িটিতে থাকছে একেবারেই নতুনের ছোঁয়া। রয়েছে কাঁচের ছাদ বড়োসড়ো কেবিন স্পেস। সামনে রয়েছে এলইডি লাইট বার এবং সেখানে থাকবে টাটার লোগো। এছাড়া রয়েছে হেডলাইটে নতুন আধুনিকতার ছোঁয়া, রয়েছে গাড়ির পাশে ফ্লোটিং গ্রুপ ডিজাইন।
গাড়িটির চাকার আয়তনও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া রয়েছে গাড়িটির বাটারফ্লাই ডোর। এই গাড়িটির ভিতরের দিকে কোন বড় টাচস্ক্রিনের জায়গা নেই এমনকি স্ক্রিনের সংখ্যাও অনেক কমানো হয়েছে এই মডেলটিতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছোট ছোট স্ক্রীন ব্যবহার করা হয়েছে, এমনকি গাড়িতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভয়েস কমান্ড। এই গাড়িটির চার্জ অত্যন্ত দ্রুত ভাবে হয় ৩০ মিনিটের চার্জে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দৌঁড়াতে পারবে এই গাড়িটি। এই গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হতে সময় নেবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত।