নিউজ ডেস্ক: পটুয়াখালীর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির স্ত্রী কামরুন্নাহার রুনুর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটার পর, প্রথমে আওয়ামী নেতাদের দায়ী করে তার (রনির) সাঙ্গ-পাঙ্গ দিয়ে গলাচিপা থানা ঘেরাও করার ফোনালাপের ফাঁসের পর বিএনপির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন গোলাম মাওলা রনি।
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর গলাচিপা স্কুল মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান গোলাম মাওলা রনি।
এ সময় গোলাম মাওলা রনি বলেন, আমার স্ত্রীর ওপর হামলা করেছিলো বিএনপির লোকজন। আমার গাড়িও ভেঙে ফেলে তারা। কিন্তু এরপরও আমি সব কিছু সহ্য করে আমার কর্মীদের থানায় গিয়ে হট্টগোল বাঁধিয়ে আওয়ামী লীগকে দায়ী করে মামলা করতে বলি। কারণ আমি আওয়ামী লীগ করলেও এখন বিএনপির লোক। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিএনপির মানুষগুলো এখনো আমাকে আপন করে নিতে পারছে না। তারা পদে পদে আমাকে লজ্জা দিচ্ছে। আমার কাজে বাধা দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় নির্বাচন করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছি না।
এ প্রসঙ্গে মনোনয়ন যুদ্ধে বাদ পড়া দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, গোলাম মাওলা রনি অনেক দিন থেকেই নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। যার কারণে তিনি ইতোমধ্যে সিইসিকে চিঠি দিয়ে সরে আসার সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত, তার কোনো জনপ্রিয়তা নেই। তাকে মনোনয়ন দেয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এরপরেও আমরা দলের স্বার্থে গোলাম মাওলা রনিকে সমর্থন করছি। কিন্তু এলাকায় রনি ক্ষমতালোভী ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিতি। বর্তমানে পটুয়াখালীর জনগণ তাকে চায় না। আর এ ঘটনা বুঝতে পেরেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
গোলাম মাওলা রনিকে নির্বাচন থেকে সরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বর্তমানে বিএনপি থেকে নমিনেশন নিলেও গোলাম মাওলা রনি জনসাধারণের সমর্থন না পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাচ্ছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আশা করবো, হার না মেনে রনির উচিত হবে নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া। অবশ্য অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে রনিকে একটু ভুগতে হবে।