স্টাফ রিপোর্টার: গত ৫ আগস্টের পর থেকে কাশিনাথপুর বাজারের সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীরা যখন কিছু দুর্বৃত্তের চাঁদাবাজির শঙ্কায় ভুগছিলো, তখন হাতে গোনা কয়েকজন জনস্বার্থে এগিয়ে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ডা. কোরবান আলী—যিনি বাজার ব্যবসায়ীদের সংগঠনের কোনও নির্বাচিত নেতা নন, তবু সংকটকালে নেতার মতই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। ভণ্ডুল করে দেন চাঁদা-আতঙ্ক, নিশ্চিত করেন সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্ন উদ্যাপন ও নিরাপত্তা।
এই সমাজসেবামূলক ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে
আসন্ন ১১ জুনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে বাজারের একদল অগ্রগণ্য ব্যবসায়ীর পীড়াপীড়িতে সাড়া দিয়ে ‘মোমবাতি’ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন কাশিনাথপুরের সুপরিচিত ওষুধ ব্যবসায়ী এবং সেবা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. কোরবান আলী।
“আমরা সৎ ও যোগ্য নেতাকে পাশে চাই”—বাজারের এক সিনিয়র পাইকারি ব্যবসায়ীর দাবি।
“বিগত বছরগুলিতে ফ্যাসিস্টদের হাতে আমরা নির্যাতন সহ্য করেছি; দাবি নিয়ে যে নেতাদের কাছে গেছি, সমাধান মেলেনি। ডা. কোরবান আলী ভাই নির্বাচিত হলে বাজারের পরিবেশ আবার ব্যবসায়ীবান্ধব হবে বলে বিশ্বাস করি।”
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান—চাপ সত্ত্বেও তারা ইতিমধ্যে ‘দুর্বৃত্ত ও চাঁদাবাজ’ চিনে নিয়েছেন। “গত আট মাসে অনেক ঝড় সামলে টিকে আছি; ডা. কোরবান আগেও পাশে ছিলেন, এবার নেতৃত্বে এলে আমরা আরও নিরাপদ থাকব,”—বললেন তাদের এক প্রতিনিধি।
ডা. কোরবান আলীর অবস্থান স্পষ্ট। তিনি বলেন, “আমি কোনও নির্দিষ্ট দলের ভোট চাই না। দল, বল, শ্রেণি, ধর্ম—সব বিভাজন ভুলে সকলের সমর্থন প্রার্থনা করি। ব্যবসায়ীদের সমস্যা মানেই আমার সমস্যা, নির্বাচিত হলে সমাধানে একজোটে কাজ করব।”
কর্মক্ষেত্রে তার পরিচিতি শুধু বড় ওষুধ ব্যবসায়ী হিসেবেই নয়, পাশাপাশি কাশিনাথপুরের স্বাস্থ্যসেবায় সেবক-মনস্ক উদ্যোক্তা হিসেবে। তাই নির্বাচনী মাঠে তার আগমন বাজারপাড়ার গুঞ্জন বাড়িয়েছে, বিশেষ করে যারা স্থিতিশীল ও নিরাপদ ব্যবসা-পরিবেশ খুঁজছেন তাদের মধ্যে।
১১ জুন, কাশিনাথপুর বাজার বণিক সমবায় সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মোমবাতি প্রতীক কি সত্যিই আলোকিত করবে কাশিনাথপুর বাজার? উত্তর জানার জন্য আর মাত্র ক’টা দিন করতে হবে অপেক্ষা।
